ফল গাছ রোপনের জন্য গর্ত তৈরি ও সার প্রয়োগ

এসএসসি(ভোকেশনাল) - ফ্রুট এন্ড ভেজিটেবল কাল্টিভেশন-২ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK

বাগানে পরিমিত পরিমাণ ফলন পেতে হলে চারা রোপণের জন্য গর্ত করা এবং গর্তে পরিমাণ মত সার প্রয়োগ করা অপরিহার্য। চারা গাছ লাগানোর সময় নির্দিষ্ট আকারের গর্ত খনন করা আবশ্যক। তবে গর্তের আকার নির্ভর করে চারার আকার ও গাছের প্রজাতির ওপর। জমিতে গর্ত করার আগে চারা রোপনের প্রণালি মোতাবেক ফিতা বা মাপ কাঠির মাধ্যমে নির্ধারিত দূরত্বে খুঁটি পুঁতে চারা রোপণের জন্য স্থান চিহ্নিত করতে হবে । এরপর সঠিক স্থানে গর্ত তৈরি করতে হবে। গর্ত খনন করে খননকৃত মাটি চার পাশে ছড়িয়ে রাখতে হবে । যেন গর্তের মাটি ভালোভাবে রোেদ শুকায়। চারা লাগানোর কম পক্ষে দু সপ্তাহ আগে গর্ত তৈরি করা উচিত । এতে করে গর্তের মাটি উন্মুক্ত থাকে এবং রোেদর তাপে জীবাণুসমূহ মারা যায় ও অনেক বিষাক্ত পদার্থ অপসারিত হয় । এর ফলে চারা লাগানোর পর রোপণজনিত ধকল সহ্য করে গাছ বেড়ে উঠতে পারে।

গর্তে সার প্রয়োগ

গর্ত তৈরির এক সপ্তাহ পরে গর্তের মাটির সাথে নির্দিষ্ট পরিমাণ সার মিশিয়ে মাটি ও সারের মিশ্রন দ্বারা গর্ত পূরণ করতে হবে । প্রতি গর্তে সারের পরিমান নির্ভর করে মাটির উর্বরতা, গাছের প্রজাতি, গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ইত্যাদির উপর । সার মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে গর্ত পূরণ করতে হবে। সার মিশ্রিত মাটি দিয়ে গর্ত পূরণ করার পর গর্তে গাছ লাগানোর জন্য কমপক্ষে এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে ।

ফল গাছ রোপণের জন্য গর্ত তৈরির কৌশল

বাগানে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ফলন পেতে হলে চারা রোপণের জন্য গর্ত করা এবং গর্তে পরিমাণ মত সার প্রয়োগ করা অপরিহার্য । চারাগাছ লাগানোর সময় পরিমিত আকারের গর্ত খনন করা আবশ্যক। তবে গর্তের আকার নির্ভর করে চারার আকার ও গাছের প্রজাতির ওপর ফল গাছের চারা রোপণের জন্য অন্তপক্ষে ৩টি কাজ করা আবশ্যক। যথা

(ক) সঠিক সময়ে ও সঠিক মাপে গর্ত খনন । 

(খ) গর্তে উপযুক্ত পরিমাণ সার প্রয়োগ ও 

(গ) গাছের বৈশিষ্ট্য মোতাবেক চারা রোপণ ও পরিচর্যা ।

ক) গর্ত খনন: চারা রোপনের জন্য গর্ত খননের গভীরতা সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের মতামত আছে । গর্ত বর্গাকার ও অগভীর হলে চারার শিকড় কুন্ডলী পাকিয়ে যায় এবং গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হয় । তবে যতদূর সম্ভব গর্ত যথেষ্ট গভীর ও চওড়া হওয়া বাঞ্চনীয় । চারা অবস্থায় শিকড় দুর্বল থাকে তাই গর্তের চারিপাশের শক্ত মাটিভেদ করে সহজে খাদ্য ও রস সংগ্রহ করতে পারে না। গর্তের আকার বড় করে এবং উপরের মাটি নিচে দিয়ে গর্ত ভর্তি করে দিতে হয় । এতে দুর্বল ও নরম মূলসমূহ নরম মাটি হতে সহজে রস নিয়ে তাড়াতাড়ি বড় হতে পারে । অনুর্বর মাটিতে এই পদ্ধতি অনুশীলন অত্যন্ত ফলপ্রসু । শুষ্ক ও বৃষ্টিপাতহীন অঞ্চলের মাটিতে শক্ত ও অপ্রবেশ্য স্তর থাকে । এক্ষেত্রে শক্তিশালী বিস্ফোরক ব্যবহার করে শকুন্তর ভেঙ্গে দিয়ে ভালভাবে গাছ জন্মানো যায় ।

বৃক্ষ জাতীয় গাছের জন্য ৫ ফুট ব্যাস ও ৪ ফুট গভীর করে গর্ত করা যায় । গর্ত খননের পর উপরের মাটি নিচে দিয়ে গর্ত পুরণ করতে হয়। এতে গাছের শিকড় খুব ভালোভাবে বিস্তার লাভ করতে পারে। বড় গর্তে রোপণকৃত গাছের শিকড় ১ বৎসরে ৭.৫ ফুট গভীরে এবং পাশে ৬ ফিট পর্যন্ত ছড়াতে পারে । অথচ ছোট গর্তে রোপণকৃত গাছের শিকড় ১ বৎসর ২ ফুটের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।

চারা রোপণের জন্য এক সপ্তাহ হতে প্রায় একমাস পূর্বে গর্ত খননে অনেকক্ষেত্রেই তেমন কোন গুরুত্ব বহন করে । বেশি আগে গর্ত খনন করে রাখলে গর্তের পাশের ও তলদেশের মাটি শক্ত হয়ে যায়। এরূপ ক্ষেত্রে চারা রোপনের আগে পুনরায় গর্ত খনন করে নিতে হয় ।

অনুর্বর মাটিতে গর্তের উপরের মাটির সাথে সার মিশিয়ে নিচে দিয়ে গর্ত ভরাট করা হলে গাছের তেজ বেশি হয় । কিন্তু চারার গোড়ার চারপাশে যদি নিয়মিত সারযুক্ত মাটি প্রয়োগ না করা হয়, তাহলে গাছের বৃদ্ধি আস্তে আস্তে কমে যায় ।

ফল গাছ রোপণের জন্য জ্ঞাত ভেদে গর্ত করার সময়

বর্ষাকাল অর্থাৎ মে থেকে জুলাই মাস জাত ভেদে সকল ধরনের চারা লাগানোর সবচেয়ে উপযুক্ত সময় । চারা লাগানোর পর এ সময় সেচ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না । বর্ষা বেশি হলে বর্ষার পরও চারা লাগানো যেতে পারে । মেঘলা দিনে বা বিকালের দিকে চারা লাগানো ভালো। পানি সেচের ব্যবস্থা থাকলে বসন্তের প্রথমে ও চারা লাগান যায় । জাতভেদে সকল ধরনের ফল গাছ রোপণের জন্য বর্ষার আগে অর্থাৎ বৈশাখ জৈষ্ঠ মাসে গর্ত - করা উত্তম । গাছের প্রয়োজনীয় খাবার সরবরাহ এবং শিকড়ের বৃদ্ধির জন্য গাছ রোপণের আগে গর্ত করা একান্ত প্রয়োজন । ভিন্ন ভিন্ন গাছের জন্য ভিন্ন ভিন্ন দূরত্বের এবং আকারের গর্ত তৈরি করতে হবে । সাধারণত কোন গাছের জন্য কি আকারের গর্ত তৈরি করতে হবে, তা নিম্নোক্ত বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে । যথা

ক) গাছের আকৃতি 

খ) শিকড়ের গভীরতা 

গ) শিকড়ের বিস্তৃতি 

ঘ) চাষের মেয়াদকাল 

ঙ) গাছের খাবারের চাহিদা ইত্যাদির ওপর

গাছের আকার, মৌসুম ও মাটি ভেদে গর্ভের আকার ও আয়তন

জমি তৈরি সম্পন্ন হলে রোপণ প্রণালি নির্বাচিত করে নির্দিষ্ট দূরত্বে গাছ লাগান উচিত। গাছ লাগানোর জন্য নির্বাচিত স্থানে গর্ত করা উচিত । গর্ত তৈরির জন্য নিম্নবর্ণিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে ।

গর্ত তৈরির ধাপ : গর্ত তৈরীর জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি যেমন- কোদাল, বেলচা, খুন্তি ইত্যাদি আগেই যোগাড় করতে হবে।

১) জমিতে গর্ত করার আগে চারা রোপণের নকশা মোতাবেক ফিতা বা কাঠির সাহায্যে মাপ দিতে হবে । মাপ দিয়ে নির্ধারিত দূরত্বে খুঁটি পুঁতে চারা রোপণের স্থান চিহ্নিত করতে হবে ।

২) চারা রোপণের ২০-৩০ দিন আগে গর্ত তৈরি করে প্রতি গর্তে পরিমাণ মত সার দিয়ে মাটি ভরাট করে দিতে হবে । গর্তের মাটি এমন ভাবে চেপে দেওয়া দরকার যাতে মাটি আলগা না থাকে ।

৩) যে সব জায়গায় উইপোকার আক্রমণের সম্ভাবনা থাকে সেখানে উইপোকা প্রতিরোধক ঔষধ ব্যবহার করতে হবে।

৪) গাছের আকৃতি বিবেচনা করে গর্ভের ব্যাস ও গভীরতা নির্ণয় করতে হবে। যেমন- (ক) ছোট আকারের গাছের জন্য গর্ভের ব্যাস হবে ৫০ সেমি এবং গভীরতা হবে ৫০ সে:মি: (খ) মাঝারি আকারের গাছের জন্য গর্তের ব্যাস হবে ৬০ থেকে ৭৫ সেমি এবং গভীরতা হবে ৬০-৭৫ সে:মি: (গ) বড় বা বৃক্ষজাতীয় গাছের জন্য গর্তের ব্যাস হবে প্রায় ১ মিটার এবং গভীরতা হবে প্রায় ১ মিটার ।

মাটির বুনট বুঝে গর্ভের আকার কম বা বেশি করা যেতে পারে। যেমন- বেলে দোঁআশ মাটির জন্য গর্তের আকার কিছুটা ছোট করা যেতে পারে। কেননা বেলে মাটিতে গর্ত বড় করা হলে চারিপাশের পাড় ভেঙ্গে গর্ত ভরাট হয়ে যেতে পারে। আবার এটেল বা এটেল দোআঁশ মাটির জন্য গর্ভের আকার কিছুটা বড় করা যেতে পারে । বক্ষ শ্রেণীর গাছের জন্য ৫ ফুট ব্যাস ও ৪ ফুট গভীরতাবিশিষ্ট গর্ত খনন করা যেতে পারে। বড় গর্তে রোপণকৃত চারার শিকড় ১ বছরে ৭.৫ ফুট গভীরে এবং পাশে ৬ ফুট পর্যন্ত ছড়াতে পারে। অথচ ছোট গর্ভে রোপণকৃত গাছের শিকড় ১ বছরে ২ ফুটের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। কারন ছোট গর্ভের চারদিকের শক্ত মাটির তুর থাকে।

৫) গর্ত খনন করার সময় গর্তের খননকৃত মাটি ছড়িয়ে রেখে শুকারে নেওয়া ভাল। গর্তের উপরিভাগে ১৫ সেমি দুইভাগ মাটি (ছবি 'ক' অংশ) একদিকে রাখতে হবে। অনুরূপভাবে গর্ভের নিচের দিকের ভাগ মাটি (ছবি 'খ' অংশ । অন্য দিকে রাখতে হবে । গর্ভের উপরের দিকের মাটিতে জৈব পদার্থ বেশি পরিমাণে থাকে ।

(৬) গর্তের উপরের মাটির সাথে প্রয়োজনীয় সার মিশানোর পর গর্ত ভরাট করার সময় উপরের অংশের মাটি নিচে দিতে হবে। আর নিচের অংশের আলাদা করে রাখা মাটি গর্তের উপরিভাগে দিতে হবে। জমির উপরিভাগের মাটি বেশি উর্বর । উপরের মাটি নিচে দিলে গাছ দ্রবত বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান তাড়াতাড়ি পাবে ।

গর্তে সার প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা

ফল গাছে সার প্রয়োগের মাধ্যমে পুষ্টি সরবরাহ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । অন্য গাছের চেয়ে ফল গাছে মাটি হতে প্রচুর খাদ্য ও পুষ্টি টেনে নেয় এবং এই পুস্টি ক্রমাগত কমার ফলে মাটির উর্বরতা শক্তি কমে যায় । ফলে মাটির উৎপাদনক্ষমতা হ্রাস পায়, ফলশ্রুতিতে ফলন কমে যায় ।

সব গাছের সমান পরিমাণ খাবার লাগেনা । আবার গাছের বৃদ্ধির বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন পরিমাণ পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন হয় । নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর ওপর ফল গাছের সারের মাত্রা নির্ভর করে ।

১। ফল গাছের ধরন ২ । গাছের আকার ও বয়স ৩ । ফলের জাত ৪ । গাছের বৃদ্ধির স্বভাব ৫ । গাছের বৃদ্ধির পর্যায় ৬ । আবহাওয়া ৭। উৎপাদন মৌসুম ৮। মাটির প্রকৃতি উর্বরতা শক্তি ৯ । সার ব্যবহার পদ্ধতি ১০ । চাষাবাদ পদ্ধতি ১১ । সেচ ব্যবস্থাপনা ১২। জমির ফসল বিন্যাস

সার ব্যবহারে গাছের অঙ্গজ বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয় এবং ফলের উৎপাদন বেড়ে যায় কিন্তু মনে রাখা প্রয়াজোন যে ত্রুটিপূর্ণ সার ব্যবহারের ফলে গাছের ক্ষতিও হতে পারে । অসময়ে গাছে সার ব্যবহার কররে গাছের ফল ধারন ব্যহত হতে পারে । তাই সঠিক সময়ে সঠিক পদ্ধতিতে পরিমাণে সার ব্যবহার করা উচিত ।

গর্তে সার প্রয়োগের মাত্রা নির্ধারণ ও প্রয়োগ পদ্ধতি

গাছের (ছোট বা বড় আকৃতির ওপর নির্ভর করে ছকে (ছক-১) বর্ণিত ও অন্যান্য নিয়ম মোতাবেক গোবর বা কম্পাস্টে সার, হাড়ের গুড়া বা টিএসপি সার, ছাই বা এমপি সার মাটির সাথে মিশাতে হবে ।

চারার উপযুক্ত বৃদ্ধির জন্য গর্তে সময়মত সার ব্যবহারের ফলে গাছের দৈহিক বৃদ্ধি তাড়াতাড়ি হয় এবং ফল ধরার পরিমান বেড়ে যায়। এছাড়া অসময়ে সার ব্যহার করা হলে সারের অপচয় হয় এবং গাছের ফল ধারণে অসুবিধা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সার মিশ্রিত মাটি দিয়ে গর্ত ভরাট করার পর মাটি শুকনা থাকলে হালকা সেচ দিতে হবে । ১০-১২ দিন পর গাছ লাগাতে হয় । কেননা সার প্রয়োগের পর পর চারা লাগানো হলে রাসায়নিক সারের বিক্রিয়ায় চারা মারা যেতে পারে। রাসায়নিক সার গর্ভের নিচের ৩০ সেমি. মাটির সাথে মিশানো উত্তম । গাছের আকার বিবেচনা করে হাড়ের গুড়ার পরিবর্তে তার অর্ধেক পরিমান টিএসপি এবং ছাই এর পরিবর্তে প্রতি কেজি ছাই এর জন্য ১০০ গ্রাম এমপি সার ব্যবহার করা যেতে পারে ।

ছক— ১ গাছের আকৃতির ওপর নির্ভর করে গর্ত তৈরির সময় সার প্রয়োগের পরিমাণ

Content added By

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন 

১ । ফল বাগানে চারা রোপনের জন্য গর্ত খনন এবং গর্তে পরিমাণমত সার প্রয়োগ অপরিহার্য কেন ? 

২। চারা রোপনের জন্য গর্তের আকার কী কী বিষয়ে উপর নির্ভর করে ? 

৩ । গর্তে সার প্রয়োগের মাত্রা কিসের উপর নির্ভর করে । 

৪ । চারা কলমের ফুল ভেঙে দেওয়া হয় কেন । 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন 

১। ফল বাগানে গর্ত তৈরির কৌশল বর্ণনা কর । 

২ । ফল বাগান গর্ত খননের দূরত্ব ও গর্তের আকার আকৃতি কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে লেখ । 

৩ । ফল বাগান গাছ রোপণের জন্য জাত ভেদে গর্ত করার সময় উল্লেখ কর । 

৪ । ফল বাগানে গর্তে সার প্রয়োগের মাত্রা কী কী বিষয়ের উপর নির্ভর করে লেখ । 

৫। কীভাবে চারা লাগানোর জন্য গর্ত করতে হয় আলোচনা কর । 

রচনামূলক প্রশ্ন 

১। ফল বাগানে গাছ লাগানোর জন্য গতকরণ ও সার প্রয়োগ সম্পর্কে লেখ । 

২ । ফল চাষে গর্ত তৈরির ধাপগুলো বর্ণনা কর । 

৩ । ফল বাগানে চারা রোপনের জন্য গাছের আকার, মৌসুম ও মাটি ভেদে গর্তের আকার ও আয়তন সম্পর্কে বর্ণনা করা । 

৪ । ফল চাষে গর্তে সার প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর । 

৫ । গর্তে সার প্রয়োগের মাত্রা নির্ধারণ ও প্রয়োগ পদ্ধতি বর্ণনা কর ।

Content added By

আরও দেখুন...

Promotion